Sunday, December 6th, 2015




চাঞ্চল্যকর ৭ খুন: অধিকতর তদন্ত বিষয়ে রায় ৯ ডিসেম্বর

001
নিজস্ব প্রতিবেদক,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম : নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার অধিকতর তদন্ত চেয়ে হাইকার্টে দায়ের করে আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য ৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ রবিবার বিকেলে এ দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মনিরুজ্জামান কবির ও বাদীপক্ষে আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে বাসেত মজুমদার বলেন, এফআরআই ঘটনাবলী প্রমাণ হতো যদি নূর হোসেনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারতাম।
এর আগে মামলার অধিকতর তদন্ত চেয়ে গত ২৩ নভেম্বর নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি হাইকোর্টে একটি ক্রিমিনাল রিভিশন আবেদন করেন। চার্জশিট দেওয়ার সময় সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন দেশের বাইরে ছিলেন উল্লেখ করে ওই আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ নভেম্বর প্রথম দিনের শুনানি ও ১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়।
১ ডিসেম্বর শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার চার্জশিট ‘মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। ওই দিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
ওই দিন আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, চার্জশিটে মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে। মামলার স্বার্থে তা বলা যাবে না। আপনারা ভাল করে খুঁজে দেখেন। সাত খুন মামলার রেজাল্টের দিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে।
জানা যায়, কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ২৮ এপ্রিল চার্জশিট দেওয়া হয়।
পরে সাত খুন মামলার বাদী কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশিট নিয়ে বিচারিক আদালতে একটি নারাজি আবেদন করেন। ৯ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ নারাজি আবেদন খারিজ করেন। পরবর্তী সময়ে বিচারিক আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে এবং মামলাটির অধিকতর তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে একটি ক্রিমিনাল রিভিশন আবেদন করেন তিনি। যার ওপর শুনানি চলছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জনের এবং ১ মে আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়।
নিহত অপর ছয়জন হলেন- আইনজীবী চন্দন সরকার, নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানায় নূর হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, হাসমত আলী, আমিনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল একই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন।
এদিকে চার্জশিট দেওয়ার সময় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন বিদেশে থাকলেও বর্তমানে তিনি দেশের কারাগারে বন্দী রয়েছেন। ১২ নভেম্বর মধ্য রাতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তাকে ফেরত পাঠায় ভারত। ৭ খুনের পর ভারতে পালিয়ে গিয়ে ধরা পড়েন নূর হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category